নির্মম হত্যাকাণ্ডের মাস আগস্ট

ইতিহাস ও ঐতিহ্য জাতীয়

মোঃ আইনুল ইসলাম :

জ পহেলা আগস্ট। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই আগস্ট মাস বাঙালি জাতির সামনে হাজির হয় দুঃখ, অসহনীয় কষ্ট এবং শোকের ছায়া নিয়ে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালির প্রিয় নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সহধর্মিণীসহ পরিবারের প্রায় সকলকেই ঘাতক চক্র নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাশ্রিত রাজনৈতিক প্রবাহ বা ধারাকে আমূল দিক পরিবর্তনের একটি কুপ্রচেষ্টা ছিল। একই চেষ্টা ছিল ২০০৪ সালেও। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের এক জনসভায় গ্রেনেড হামলা, যে হামলায় ২৪ জন নিহত হয় এবং তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ প্রায় ৩০০ লোক আহত হয়। শুধু যে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে হত্যা এবং গ্রেনেড হামলা আগস্ট মাসে হয়েছিল তা নয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যাপক জঙ্গী হামলার জন্যও আগস্ট মাসকে বেছে নেয়া হয়েছিল। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জেএমবি দেশের ৬৩ জেলার ৩০০ জায়গায় একসাথে বোমা হামলা করে নিজেদের ক্ষমতা জানান দেয়।

১৫ আগস্ট ১৯৭৫ বাংলাদেশের অভ্যুত্থান হলো কতিপয় বিপথগামী সশস্ত্র অফিসারদের দ্বারা সংগঠিত একটি সামরিক অভ্যুত্থান। খন্দকার মোশতাক আহমেদের নেতৃত্বে একটি পাকিস্তানপন্থি সরকার দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ধর্মনিরপেক্ষ সরকারকে অপসারণের কুপরিকল্পনা করেছিলেন কর্মকর্তারা। শেখ মুজিব এবং তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য এ অভ্যুত্থানে নিহত হন। শেখ মুজিবের বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ আবু নাসের, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শেখ কামাল, সুলতানা কামাল খুকী, শেখ জামাল, পারভীন জামাল রোজী, শেখ রাসেল শেখ মনির বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন- শেখ ফজলুল হক মনি, বেগম আরজু মনি (বেগম সামসুন্নেসা) সেরনিয়াবাতের বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন- আবদুর রব সেরনিয়াবাত, আরিফ সেরনিয়াবাত, বেবী সেরনিয়াবাত, শহীদ সেরনিয়াবাত, সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু, নাঈম খান রিন্টু, পোটকা (গৃহভৃত্য), লক্ষীর মা (গৃহভৃত্য) অন্যান্য যারা নিহত হন: সিদ্দিকুর রহমান (পুলিশ কর্মকর্তা), সামছুল হক (পুলিশ কর্মকর্তা), কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদ (বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা কর্মকর্তা) এছাড়া যারা, শেরশাহ সুরী রোডের ৮ ও ৯ নং বাড়ি এবং শাহজাহান রোডের ১৯৬ ও ১৯৭ নম্বর বাড়ি (মর্টারের গোলার আঘাতে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে নিহত হন- রেজিয়া বেগম, নাসিমা, হাবিবুর রহমান, আনোয়ারা বেগম, আনোয়ারা বেগম (২), ময়ফুল বিবি, সাবেরা বেগম, আবদুল্লাহ, রফিকুল, সাফিয়া খাতুন, শাহাবুদ্দিন, কাশেদা, আমিনউদ্দিন, হনুফা বিবি ।এ কথা সবাই জানে যে, স্বাধীনতার পর দেশ পরিচালনায় বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী পদক্ষেপে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে থাকে। পাকিস্তানি শাসকদের দ্বারা দীর্ঘদিনের শোষিত-বঞ্চিত এ দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য তিনি দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এই সময়ও তিনি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হন। সব ষড়যন্ত্রকে পাশ কাটিয়ে তিনি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। বঙ্গবন্ধুর এই সফলতা ও দেশকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নেওয়ার গতি বুঝতে পেরেই স্বাধীনতা বিরোধী দেশি-বিদেশি চক্রান্ত্রে ষড়যন্ত্রকারীরা তাঁকে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করে।পৃথিবীতে এরকম রাষ্ট্রনায়ক কে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের উদাহরণ আছে বৈকি, তবে অবোধ শিশু থেকে শুরু করে নব বিবাহিতা বধু কিংবা অন্তঃসত্ত্বা তরুণীসহ পরিবারের সবাইকে নির্মমভাবে হত্যা ছিল নজিরবিহীন।

বাংলাদেশের এক ক্রান্তিকালে ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন তখন কেউ ভাবতেও পারেনি, বঙ্গবন্ধুর কন্যা একদিন তাঁর পিতার দৃঢ়তা নিয়ে দেশের হাল ধরে দেশটিকে অগ্রগতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। একদিন এই দেশের মাটিতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হবে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে। যারা এই দেশকে পুনরায় পাকিস্তানি ধারায় নিয়ে যেতে চায় তারা কিন্তু সেটা সঠিকভাবে অনুমান করতে পেরেছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের, অন্যান্য সকল জাতীয় নেতাদের নিয়ে একসাথে হত্যা করার জন্য একটা ভয়ঙ্কর গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হত্যা নিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র করে। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যা করার জন্য সেদিন ১৪টি গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছিল। সেদিন শেখ হাসিনার বেঁচে যাওয়াটা ছিল এক অলৌকিক ঘটনা, যা একমাত্র সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে কারণে সম্ভব হয়েছিল। তাঁকে রক্ষা করতে মানব বর্ম তৈরি করেছিলেন তাঁর দলীয় নেতাকর্মীরা। নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দিয়ে শেখ হাসিনার প্রাণ রক্ষা করা হলেও মারা গেলেন ২০ জন, আহত হলো শত শত। তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনা বিরোধী দলের নেত্রী। গ্রেনেড হামলাটিও হয়েছিল হত্যাকারীদের পছন্দের আগস্টে।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালের ১৭ অগাস্ট জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) নামের একটি সংগঠন দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে মুন্সিগঞ্জ ছাড়া বাকি ৬৩টি জেলায় এক যোগে সিরিজ বোমা হামলা চালায়। এই ঘটনায় দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে মুন্সিগঞ্জ ছাড়া দেশের প্রতিটি জেলায় বোমা হামলা চালিয়ে জেএমবি তাদের অবস্থান জানান দেয়। বিস্ফোরণ স্থলগুলোতে পাওয়া যায় জেএমবির প্রচারপত্র। প্রচলিত রাষ্ট্র ব্যবস্থা বাতিল করে আল্লাহর আইন বাস্তবায়নের দাবি সম্বলিত এসব প্রচারপত্র ছিল অভিন্ন। হামলাগুলো মূলত আদালত ভিত্তিক করা হয়। এর পরেই জেএমবি মূখ্য আলোচনায় চলে আসে। শুরু হয় গোয়েন্দা সংস্থার নতুন হিসাব নিকাশ। ২৭ আগস্ট এবং পরবর্তীতে সারা দেশে প্রায় ৫ শত বোমা হামলার ঘটনায় ২ বিচারকসহ অন্তত ২৩জন নিহত হয়। এ সময়ও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া।

১৯৯৬ সালের ২৩ জুন শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর ২ অক্টোবর ধানমন্ডি থানায় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যগণকে হত্যার বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করা হয়। ১২ নভেম্বর জাতীয় সংসদে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করা হয়। ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর ধানমন্ডি থানায় শেখ মুজিবের ব্যক্তিগত সহকারী এএফএম মহিতুল ইসলাম বাদী হয়ে মুজিব হত্যাকাণ্ডের মামলা করেন। ১ মার্চ ১৯৯৭ সালে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারকার্য শুরু হয়।২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমানের পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয় ; তারা হলেন: লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর বজলুল হুদা, লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহম্মেদ (আর্টিলারি) লে. কর্নেল একেএম মহিউদ্দিন আহম্মেদ (ল্যান্সার)। ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুল মাজেদকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ১২ এপ্রিল তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ২০২০ সালের ১৯ এপ্রিল ভারতে রিসালদার মোসলেম উদ্দিন গ্রেফতার হন।

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলাটি ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর মামলার বিচার শুরু হয়। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারে এসে এর অধিকতর তদন্ত করে। এরপর বিএনপির নেতা তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হারিছ চৌধুরী, জামায়াতের নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদসহ ৩০ জনকে নতুন করে আসামি করে ২০১১ সালের ৩ জুলাই সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এরপর দুটি অভিযোগপত্রের মোট ৫২ জন আসামির মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৮ জনকে পলাতক দেখিয়ে বিচার শুরু হয়। দীর্ঘ ১৪ বছর পর ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়। আদালত দুটি মামলার রায়ে জীবিত ৪৯ জন আসামির মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য কায়কোবাদসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেয়। বাকি ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন। যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া এই ১৯ আসামির মধ্যে ১৩ জনই পলাতক।তবে এ রায়ের মাধ্যমে যে বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে তা হলো, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এ হামলা পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে যুদ্ধে ব্যবহৃত হয় যে আর্জেস গ্রেনেড সেসব ছোড়া হয়েছে রাষ্ট্রের সহায়তায়।
২০০৫ সালের ১৭ অগাস্ট বোমা হামলার ঘটনায় সারা দেশে ১৫৪টি মামলা হয়। পরবর্তীকালে ২০০৭ সালের ১২ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলার ঘটনায় আরো ১১৯টি মামলা হয়। জেএমবি সংক্রান্ত এই ২৭৩টি মামলার মধ্যে বেশিরভাগ মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এসব মামলার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সিআইডি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। তবে সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে ১৭ অগাস্টের অন্তত ৪টি মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে সিআইডি। অভিযোগপত্র দেওয়া মামলাগুলোর মধ্যে অধিকাংশ মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। আসামিদের ফাঁসিসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজার রায় হয়েছে। কয়েকটি মামলার বিচার কাজ শেষ হয়নি। এখনো ৫টি মামলার তদন্ত চলছে বলে সিআইডি সূত্র জানায়। এসব ঘটনায় আটশতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আব্দুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই, আতাউর রহমান সানি, খালেদ সাইফুল্লাহ রয়েছে। এই চারজনসহ মোট ছয়জনের ফাঁসি ২০০৭ সালে ২৯ মার্চ রাতে কার্যকর হয়।

বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের হত্যাকারীদের বিচার সম্পন্ন হয়েছে। তবে রায়ের পর্যবেক্ষণ অংশে এ- হত্যাকান্ডের ঘটনা শুধু একটি নিছক হত্যাকাণ্ড ছিলনা বলে উল্লেখ করা হয়। একই সাথে হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচনের মতামত দেওয়া হয়। তাই দাবি উঠেছে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সব তথ্য-উপাত্ত উদঘাটনের জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন করার। কমিশনের রিপোর্ট হয়ে থাকবে ইতিহাসের একটি মাইলফলক। তাহলে অনাগত ভবিষ্যৎ বলতে পারবে এই হত্যাকাণ্ডে কারা কারা জড়িত ছিল। আগামী প্রজন্মের জন্য বঙ্গবন্ধু খুনের পরিকল্পনা প্রণয়নকারী, বাস্তবায়নকারী ও উপকারভোগীদের স্বরূপ উন্মোচন করা প্রয়োজন।
যে কোন হত্যাকাণ্ডের পরিপূর্ণ বিচার হলে তার পুনরাবৃত্তি নিরুৎসাহিত হয়। কেননা একথা সত্য যে, হত্যাকাণ্ড এবং হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে পারলে এসবের পুনরাবৃত্তি ঠেকানো সম্ভব। তাই ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট-এর খুনিদের পূর্ণাঙ্গ বিচার ও সাজা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবী।

লেখক: অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ও সাবেক সভাপতি, জবি নীলদল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *