কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর পাওয়া ভূমিহীন পরিবারদের বস্তার মধ্যে ফসল উৎপাদন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পতিত জমিকে চাষযোগ্য করে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রাজারহাট উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকালে ছিনাই আশ্রয়ন প্রকল্পের শতাধিক অধিবাসীদের মধ্যে রসুন, আদা ও পেঁয়াজের ছাড়া রোপণকৃত বস্তা এবং লেবু ও মরিচের চারা প্রদান করা হয়।
অপরদিকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠের বাইরের পতিত জমিকে চাষযোগ্য করে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রোপন করা হয় বিভিন্ন ফলস গাছের চারা।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিম, ছিনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাদেকুল হক নুরু, উপজেলা কৃষি অফিসার সম্পা আক্তার, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আলমগীর।
এর আগে আশ্রম প্রকল্পের বাসিন্দাদের বস্তায় ফসল উৎপাদন বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
আশ্রয়নের বাসিন্দারা জানান, আমরা ভূমিহীন মানুষ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর সহ দুই শতক জমি পেয়েছি। যেখানে ঘর তোলার পর আর তেমন কোন জমি নেই। সেখানে এমন শিক্ষা আর নতুন এই পদ্ধতির চাষ আমাদের উপকৃত করবে।
এ ব্যাপারে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরে তাসনিম জানান, সকল পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা। সেই নির্দেশনার আলোকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশ্রয়নের ঘর পাওয়া মানুষদের সামান্য যে জায়গাটুকু আছে সেখানে লেবু, মরিচ, লাউ চাষের পাশাপাশি বস্তায় করে তাদের বারান্দা ও ঘরের চারিদিকে কিভাবে আবাদ করা যায় সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে। ঘর পাওয়া মানুষ জনও এতে খুবই আগ্রহী। আমরা মনে করছি এভাবে চাষ করতে পারলে তাদের নিজেদের চাহিদা পূরণ করে উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারবেন। এতে তারা আর্থিকভাবে লাভবানও হবেন।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ বাদ দিয়ে বেশ কিছু জায়গা পতিত পড়ে থাকে। সেই জায়গাগুলো কেও আমরা চাষযোগ্য করে তুলছি। সেই সাথে বিভিন্ন স্কুলের ছাদেও ছাদবাগান তৈরিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সেখানে শিক্ষকদের পাশাপাশি আমাদের কোমলমতি শিশুরা বাগান করছে। তাদের মেধা ও মননে যেমন বিকশিত হচ্ছে তেমনি প্রকৃতি প্রেমে তারা উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।