জোয়ারের পানির স্রোতে চোখের সামনে তলিয়ে যাচ্ছে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামের মানুষের ঘর বাড়ি বসতভিটা। মানুষ বাধ্য হয়ে ঘর বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে নিরাপদ জায়গায়। এ যেন সাতক্ষীরার দৈনন্দিন চিত্র হয়ে দাড়িয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতে ইয়াসের আঘাত। আর সর্বশেষ গত ১১ই সেপ্টেম্বর শনিবার প্রতাপনগর ইউনিয়নের ০৫ নং ওয়ার্ডের হাওলাদার বাড়ির পাশে মসজিদ সংলগ্ন জোয়ারের পানির স্রোত। রিং বাধ ভেঙে ফের প্লাবিত হয়ছে বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রতিদিন দুই বার করে জোয়ারের পানিতে ভাসছে এলাকার মানুষ। আর ভাটায় সবকিছু ভেঙে নিয়ে চলে যাচ্ছে নদীতে।
স্থানীয় কালাম ঘরামী ৫ সন্তানের জনক। সব কিছু হারিয়ে কোথায় যাবেন? কি করবেন? কিছুই ভেবে পাচ্ছেন না তিনি! দিশেহারা কালাম ঘরামী বলেন, তিন পুরুষ ধরে এখানে বসবাস করছি। রিং বাধ ভেঙে সব কিছু তলিয়ে গেছে। পরিবার নিয়ে কোথায় যাব জানে না। অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে ইতোমধ্যে এলাকা ছেড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রতাপনগরের তিন গ্রামের প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষ প্রতিদিন জোয়ার ভাটায় নিমজ্জিত হচ্ছে। বন্যতলার ভাঙন পয়েন্ট দিয়ে খোলপেটুয়া নদীর পানিতে সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ত্রাণ দরকার নাই, টেকসই বেড়িবাধ চাই। এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাশনের কাছে টেকসই বাঁধ নির্মাণের আকুল আবেদন জানান তারা।